শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
বরগুনা আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউপির সোনাখালী গ্রামে দুলাভাইের অত্যাচারে সতিত্ব রক্ষায় শালিকা ফাহিমা আক্তার (১৬) উধায়ের অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানাযায়, বাবা সহীদুল ইসলাম গাজী মেয়ে ফাহিমা আক্তারকে ফিরে পেতে একই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা জয়নাল খান ও ছেলে সাহবুদ্দিন সহ চার জনকে আসামি করে বরগুনা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে একটি অপহরণ মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং ১৮৬/২০ ইং। ঘটনার সত্যতা প্রকাশে সরেজমিন অনুসন্ধানে অপহৃত ফাহিমা আক্তার জানালেন ভিন্ন কথা। ফাহিমা বলেন, আমি কখনো অপহৃত হইনি,
সতিত্ব রক্ষায় সেচ্ছায় ঘর থেকে পালিয়েছি। ফাহিমা আক্তারের সেচ্ছায়
পালিয়েছি যাবার ঘটনার বর্ননা জানতে চাইলে তিনি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলেন বিষয়টি লজ্জাজনক, আমার ভগ্নিপতি কাইউম মোল্লার উৎপাতে এমনটি করেছি আমি। দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানির উদ্দেশ্য কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। বিষয়টি বাবাকে জানালে উল্টো শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তিনি আরো জানান, সময়ের ব্যবধানে কাইউম মোল্লা তার ঘৃণ্য স্বার্থ চরিতার্থ করতে যৌন নিপীড়ন বাড়িয়ে দেয়। এসংকট ছিলো আমার নিত্য দিনের। পাশাপাশি বাবার দেয়া অপহরণ মামলার আসামি
সাহবুদ্দিন আমাকে ভালো বাসতেন। বিষয়টি আমি সহ পরিবারের সকলেই জানতেন। আমি আমার সতিত্ব রক্ষায় সার্বিক বিষয় নিয়ে সাহবুদ্দিনকে অবহিত করলে তিনি আমাকে স্বাদরে গ্রহন করেন এবং আমি সেচ্ছায় তার হাতধরে পালিয়ে যাই। শুধু তাই নয়, ইসলামিক শরিয়ত অনুযায়ী গ্রহন করি। ফাতিমার ঘটনার সূত্র ধরে সরেজমিন অনুসন্ধানে ভগ্নিপতি কাইউম মোল্লাকে খুজতে গেলে ঘটনা স্থলে তাকে পাওয়া যায় নি। এলাকার সূত্রে জানাযায়, কাইউম লোকলজ্জার ভয়ে আস্তে করে গাঁ ঢাকা দেয়। মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ট করেও তাকে পাওয়া যায় নি।